আপনার বাচ্চার বয়স 6 মাস পর্যন্ত ওর পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য মায়ের দুধের বিকল্প আর কিছু হতে পারেনা। তবে, এর পরে তাকে আরও স্বাস্থ্যকর পুষ্টির জন্য তার ডায়েটে পরিপূরক খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আপনার বাচ্চার বয়স দুবছর হলে, বাচ্চাটি আপনার পরিবারের অন্যদের মতো খাবার খেতে সক্ষম হবে। যাইহোক, এমনকি আপনার শিশুটি খানিকয়া বড় হয়ে হাঁটতে শিখলেও একটি ব্যতিক্রমী পুষ্টিকর খাবার হিসাবে দুধের গুরুত্ব হ্রাস পায় না। এবং আপনার বাচ্চা দ্রুত বেড়ে ওঠার এই পর্যায়টিতে, আর দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন আছে কিনা সেই বিষয়ে আপনার মনে ভাবনা আসতে পারে। তাই, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, কম চিনিযুক্ত দুধ সম্পর্কে আরও জানুন এবং এটি আপনার সন্তানের জন্য প্রয়োজনীয় কি না তাও জেনে নিন।
বাড়ন্ত বাচ্চার দুধ বলতে কী বোঝায়?
বাড়ন্ত বাচ্চার দুধ বলতে দুধ-ভিত্তিক পানীয়কে বোঝায় যার সাথে যুক্ত ভিটামিন এবং মিনারেল এবং কম মাত্রার প্রোটিন থাকে। এই খাবারের ব্যবস্থা 12 থেকে 36 মাস বয়সী সকল শিশুদের জন্য করা হয়েছে। বাড়ন্ত বাচ্চার দুধ তেমন একটা প্রয়োজন নয়, তবে এই দুধ মায়ের দুধ থেকে পারিবারিক খাবারে পরিবর্তনের সময় পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে পারে। এটা বিশেষ করে অনুপযুক্ত খাদ্যাভ্যাসের অধীন বাচ্চাদের জন্য উপকারি হতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ, যে সকল পরিবারে একটি কঠোর নিরামিষ খাদ্য অনুসরণ করে সেখানে জন্মগ্রহণ করা শিশুরা বড় হয়ে ওঠার সময় তাদের বাড়ন্ত বাচ্চাদের দুধ খাওয়ালে কিছু পুষ্টির অভাব হতে পারে।
বেড়ে ওঠা দুধ তৈরি করা হয় কম চর্বিযুক্ত গরুর দুধকে পাতলা করে প্রোটিনের ঘনত্ব কমিয়ে শিশুর পক্ষে উপযোগী মাত্রায় পৌঁছানোর জন্য। অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘনত্ব বৃদ্ধির জন্য গরুর দুধের চর্বি আংশিকভাবে ভেজিটেবল অয়েল তেল দিয়ে বদল করা হয়। এটি অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজ স্তর বজায় রাখার সময় দীর্ঘ-চেইন পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যোগ করতে পারে।
বাড়ন্ত বাচ্চার দুধের কী প্রয়োজন আছে?
শিশুরা প্রায়ই কম ডায়েটারি ফাইবার এবং বেশি প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, নুন এবং পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খায়। শিশুদের খাদ্যেও দরকারী মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ন্টগুলি অভাব হয়ে থাকতে পারে। যেমন, একটি শিশুর খাবারের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন ডি, আয়োডিন এবং ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে বাড়ন্ত বাচ্চাদের কম মিষ্টিযুক্ত দুধ এই সব ঘাটতি পূরণের একটি উপায় হলেও একমাত্র পথ নয়। আপনার শিশুকে ছোট ডোজ বা সুরক্ষিত গরুর দুধ, শস্য-ভিত্তিক খাবার, মাংস এবং মাছের পরিপূরক দেওয়া আরও কার্যকর হতে পারে।
বাড়ন্ত বাকচ্চাদের দুধে কার্বোহাইড্রেট
বাড়ন্ত বাচ্চাদের দুধে প্রায় সব সময় কিছু পরিমাণ মেশানো মিষ্টি থাকে। আর চিনি হল সহজে হজম করা যায় এমন এক কার্বোহাইড্রেট। কার্বোহাইড্রেট শক্তির বড় উৎস হলেও এর সদ্ব্যবহার না হলে ওজন বেড়ে যাবার যথেষ্ট সম্ভাবনা থেকে যায়।
এমনকি বুকের দুধেও একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মিষ্টি থাকে। তবে যেটা আমাদের প্রধানত খেয়াল রাখতে হবে তা হল চিনির ধরন। মায়ের বুকের দুধে ল্যাকটোজ থাকে, যা শিশুকে খাবার হজম করতে সাহায্য করে এছাড়াও শিশুর অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অন্যান্য ধরনের মিষ্টির তুলনায় এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা খুব বেশি বৃদ্ধি করে না।
সর্বশেষে
বাড়ন্ত বাচ্চার দুধ আসলে আপনার শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় নয়, তবে তাকে সীমিত পরিমাণে সরবরাহ করা যেতে পারে, বিশেষ করে যদি তার খাদ্যে অত্যাবশ্যক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের অভাব থাকে। এ ছাড়া শিশুকে প্রতিদিন সুষম খাবার দেওয়ার দিকেও আপনাকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। এটি একাই তার সমস্ত পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে এবং আপনার শিশুকে সঠিক গতিতে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
আনন্দের সাথে বেড়ে ওঠা ও গ্রোয়িং আপ মিল্ক সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন https://www.nestle.in/brands/nestle-lactogrow
আপনার সন্তানের বৃদ্ধি এবং সম্ভাবনা সম্পর্কে আরও জানতে www.nangrow.in -এ যান